ঢাকা ০৬:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
উলিপুরে ভাঙা ব্রিজে আট বছর ধরে দুর্ভোগ, দেখার কেউ নেই সুন্দরগঞ্জে তিস্তা নদীতে কাঠ সংগ্রহ করতে গিয়ে নারীর মৃত্যু ইসলামী ব্যাংকে অবৈধ নিয়োগ বাতিলের দাবিতে সুন্দরগঞ্জে মানববন্ধন সুন্দরগঞ্জে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উদযাপন গাইবান্ধায় ফোর লেন প্রকল্পের পাইলিং মেশিনের তামার ক্যাবল চুরি, আটক ২ তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে গাইবান্ধায় পদযাত্রা ও স্মারকলিপি প্রদান গাইবান্ধায় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের দুই কর্মকর্তার গ্রেফতার ও বরখাস্তের দাবিতে মানববন্ধন চরম ভোগান্তিতে বেরোবির ছাত্রী হলের শিক্ষার্থীরা অনার্স পড়ুয়া সাহুলের চিকিৎসায় শায়েস্তাগঞ্জ সমিতি ইউকের অর্থ সহায়তা সুন্দরগঞ্জে উত্তরবঙ্গ ক্লাব ৯৪ এর মিলনমেলা

চরম ভোগান্তিতে বেরোবির ছাত্রী হলের শিক্ষার্থীরা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:১৪:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ অক্টোবর ২০২৫ ৯ বার পড়া হয়েছে

Oplus_131072

আমাদের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বেরোবি প্রতিনিধি:
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ছাত্রীদের একমাত্র আবাসিক হল শহীদ ফেলানী হল (সাবেক বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল)। দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীরা এখানে নানা সমস্যায় ভুগলেও কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য হলে ন্যূনতম সুবিধা থাকলেও শহীদ ফেলানী হলে তা আরও সীমিত—যা আবাসিক শিক্ষার্থীদের কাছে বৈষম্যমূলক বলে অভিযোগ করছে৷

আবাসিক শিক্ষার্থী আতিকা ঊর্মি বলেন, ৪ সিট ও ৮ সিটের কক্ষের ভাড়া একই হলেও ৮ সিটের কক্ষে একটি বেড দুই শিক্ষার্থীকে ভাগাভাগি করতে হয়। ছোট বিছানায় দুজন মিলে থাকতে হয়, একটি টেবিল-চেয়ারও শেয়ার করতে হয়। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকি ও অস্বস্তি তৈরি হচ্ছে। এছাড়া রাত সাড়ে ৮টায় গেট বন্ধ করে দেওয়ায় টিউশনি শেষে হলে ফিরতে সমস্যায় পড়তে হয়।

তিনি আরও বলেন, ডাইনিংয়ের খাবারের মান অত্যন্ত খারাপ। পর্যাপ্ত প্লেট, বাটি, গ্লাস নেই। ভর্তুকি দেওয়া হলে ভালো হতো। রিডিং রুম খুব জরুরি প্রয়োজন, বিশেষ করে পরীক্ষার সময় পড়ার জায়গা পাওয়া যায় না।

আরেক আবাসিক শিক্ষার্থী মনিসা আক্তার জানান, আমাদের হলে কোনো গেস্ট রুম নেই। বাড়ি থেকে কেউ আসলে বাইরে দাঁড়িয়ে কথা বলতে হয়, যা অস্বস্তিকর। লাইট-ফ্যান নষ্ট হলেও বারবার অভিযোগ দেওয়ার পরও ঠিক করা হয় না। খাবারের মান খারাপ, অথচ সিট ভাড়াও অন্যদের তুলনায় বেশি।

এছাড়া সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বাইরের তুলনায় বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। পরিচ্ছন্নতাকর্মীর নিয়মিত অনুপস্থিতি এবং নষ্ট সরঞ্জাম দীর্ঘদিন মেরামত না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি আরও বেড়েছে।

এ বিষয়ে হল প্রভোস্ট সিফাত রুমানা বলেন, হল তার নীতিমালা অনুযায়ী চলছে। ডাবল করে সবাইকে প্রথমে থাকতে হয় পরে সিংগেল করা হয়। এইটা আগে থেকেই হয়ে আসছে। হলের গেট সাড়ে ৮ টায় বন্ধ করা হয় হল নীতিমালা অনুযায়ী।

গেস্ট রুমের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, গেস্ট রুম নিচ তলায় হল অফিসের সাথে হবে। কাজ চলমান।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :
   

চরম ভোগান্তিতে বেরোবির ছাত্রী হলের শিক্ষার্থীরা

আপডেট সময় : ০৪:১৪:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ অক্টোবর ২০২৫

বেরোবি প্রতিনিধি:
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ছাত্রীদের একমাত্র আবাসিক হল শহীদ ফেলানী হল (সাবেক বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল)। দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীরা এখানে নানা সমস্যায় ভুগলেও কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য হলে ন্যূনতম সুবিধা থাকলেও শহীদ ফেলানী হলে তা আরও সীমিত—যা আবাসিক শিক্ষার্থীদের কাছে বৈষম্যমূলক বলে অভিযোগ করছে৷

আবাসিক শিক্ষার্থী আতিকা ঊর্মি বলেন, ৪ সিট ও ৮ সিটের কক্ষের ভাড়া একই হলেও ৮ সিটের কক্ষে একটি বেড দুই শিক্ষার্থীকে ভাগাভাগি করতে হয়। ছোট বিছানায় দুজন মিলে থাকতে হয়, একটি টেবিল-চেয়ারও শেয়ার করতে হয়। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকি ও অস্বস্তি তৈরি হচ্ছে। এছাড়া রাত সাড়ে ৮টায় গেট বন্ধ করে দেওয়ায় টিউশনি শেষে হলে ফিরতে সমস্যায় পড়তে হয়।

তিনি আরও বলেন, ডাইনিংয়ের খাবারের মান অত্যন্ত খারাপ। পর্যাপ্ত প্লেট, বাটি, গ্লাস নেই। ভর্তুকি দেওয়া হলে ভালো হতো। রিডিং রুম খুব জরুরি প্রয়োজন, বিশেষ করে পরীক্ষার সময় পড়ার জায়গা পাওয়া যায় না।

আরেক আবাসিক শিক্ষার্থী মনিসা আক্তার জানান, আমাদের হলে কোনো গেস্ট রুম নেই। বাড়ি থেকে কেউ আসলে বাইরে দাঁড়িয়ে কথা বলতে হয়, যা অস্বস্তিকর। লাইট-ফ্যান নষ্ট হলেও বারবার অভিযোগ দেওয়ার পরও ঠিক করা হয় না। খাবারের মান খারাপ, অথচ সিট ভাড়াও অন্যদের তুলনায় বেশি।

এছাড়া সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বাইরের তুলনায় বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। পরিচ্ছন্নতাকর্মীর নিয়মিত অনুপস্থিতি এবং নষ্ট সরঞ্জাম দীর্ঘদিন মেরামত না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি আরও বেড়েছে।

এ বিষয়ে হল প্রভোস্ট সিফাত রুমানা বলেন, হল তার নীতিমালা অনুযায়ী চলছে। ডাবল করে সবাইকে প্রথমে থাকতে হয় পরে সিংগেল করা হয়। এইটা আগে থেকেই হয়ে আসছে। হলের গেট সাড়ে ৮ টায় বন্ধ করা হয় হল নীতিমালা অনুযায়ী।

গেস্ট রুমের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, গেস্ট রুম নিচ তলায় হল অফিসের সাথে হবে। কাজ চলমান।